কম্পিউটার কি?
কম্পিউটার শব্দটি গ্রীক compute শব্দ থেকে এসেছে।কিন্তু কম্পিউটারের সাহায্যে অনেক রকম দুরূহ কাজ নিখুত ভাবে করা সম্ভব। কম্পিউটারের প্রধান দুটি বৈশিষ্ট্য হল এটি লক্ষ লক্ষ তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে।অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ও নির্ভুলভাবে নির্দেশিত নির্দেশসমূহ পালন করতে পারে। Computer-একটি আধুনিক অত্যন্ত দ্রুতি গতি সম্পন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র। অন্যান্য ইলেট্রনিক্স যন্ত্রের সাহায্যে দুই-তিনটির বেশী কাজ করা যায় না।ইলেকট্রনিক সংকেতের উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে কম্পিউটার ল্যাংগুয়েজ বা কম্পিউটার ভাষা।compute শব্দের অর্থ হচ্ছে গণনা করা। মূলত কম্পিউটার (কম্পিউটার) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। (আবার ল্যাটিন শব্দ Computare ও থেকে Computer শব্দের উৎপত্তি বলে ও মনে করে ) পূর্বে কম্পিউটার দিয়ে শুধুমাত্র হিসাব-নিকাশের কাজ করা হত।
Also read –
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন ২০২০? ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
কম্পিউটারের ল্যাংগুয়েজ এর মাধ্যমে কম্পিউটারে যে নির্দেশ দেয় তারই ভিত্তিতে Computer ফলাফল প্রকাশ করে থাকে। কম্পিউটারের এ ভাষা/ ল্যাংগুয়েজই হল কম্পিউটারের প্রোগ্রাম। প্রোগ্রাম ব্যতীত কম্পিউটার একটি জড় পদার্থ। কিন্ত বর্তমান যুগে কম্পিউটারের বহুমুখী ব্যবহারের ফলে কম্পিউটারের সংজ্ঞা অনেক ব্যাপকতা লাভ করেছে। কোন সীমিত সংজ্ঞা দিয়ে আর কম্পিউটার গন্ডীবন্ধ করা যায় না।
Computer এর সংজ্ঞা- কম্পিউটার হলো একগুচ্ছ বৈদুতিক তরঙ্গকে নিজস্ব সংকেতে রুপান্তর করে ব্যবহারকারী কর্তৃক প্রয়োগকৃত কমান্ডের সাহ্যাযে্য উদ্ভূ সমস্যার সমাধান করে থাকে।
কম্পিউটারের বৈশিষ্ট – কম্পিউটার নির্ভুল ফলাফল, দ্রুতগতি, ডাটা সংরক্ষন, স্বয়ংক্রিয় কর্মক্ষতা, সহনশীলতা, স্মৃতি বা মেমরী, ইত্যাদি বৈশিষ্ট বিদ্যমান।
কম্পউটারের ব্যবহার – ঘর থেকে শুরু করে অফিস- আদালত এমন কোন জায়গায় খুজে পাওয়া যাবে না।যেখানে Computer ব্যবহার হয় না, অফিসের কাজে , ব্যবসার-বাণিজে্য, স্কুলে-কলেজে-বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিভিন্ন ধরনের প্রোজেক্ট। শিল্প-কারখানায়, খেলাধুলা, চিত্তবিনোদনে, দোকান পাট, ব্যাং-ইন্সুরেন্স কোম্পানী, আবহাওয়া অফিস, মহাশুন্য স্টেশন-ইত্যাদি সকল ক্ষত্রে কম্পিউটার ব্যবহার হয়।
কম্পিউটারের ইতিহাস- স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার ( ১৫৫০- ১৬১৭ ) হিসাব-নিকাশের জন্য হাতীর দাতের ছোট ছোট অংশ দিয়ে একটি যন্ত্র তৈরি করলেন যাকে নেপিয়ারের অস্থি বলা হয়। নেপিয়ারের অস্থি ছিল এনালগ বা তুলনাভিত্তিক গণনা গন্ত্র। পরবর্তীতে ফরাসী বিজ্ঞানী রেইজ প্যাচক্যাল( ১৬২৩-১৬৬২) প্রথম গণনার যন্ত্র চাকার সাহায্যে তৈরিতে সক্ষম হন। যেতেতু চাকা দুই দিকেই ঘুরানো যেত তাই যোগ বিয়োগ করার কোন অসুবিধা হতোনা। পরবর্তী ৩০ বছর পর বিখ্যাত জার্মান গণিতবিদ লিবনিজ ( Leibniz- 1646-1716) আরেকটি গণক যন্ত্র তৈবি করেন যার সাহায্যে গুন ভাগ করা যেত।
তিন শতাব্দী পূর্বে বর্তমানের সমতুল্য চার ফাংশন বিশিষ্ট ক্যালকুলেটরটিও তিনি নির্মাণ করেন।
আধুনিক কম্পিউটারের জনক হিসাবে পরিচিত বৃটিশ নাগরিক র্চালস ব্যাবেজের ( ১৭৯২-১৮৭১) নাম স্মরন করা হয়ে থাকে। তিনি ১৮২২ সালে সরকারের অনুদানে ডিফারেন্স ইঞ্জিল বা বিয়োগ ভিত্তিক গণনা যন্ত্র তৈরি করেন। ( ada augusta lovelace) আদা আগুসতা ল্যাভল্যাচ ই পৃথিবীর প্রথাম Computer প্রোগামার। প্রায় ১০৩৭-৪৪ সাল পযর্ন্ত আই বি এম কোম্পানীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের হাউয়ার্ড আইফেন হারভার্ড বিশ্ববিদ্যায়ে পৃথিবীর প্রথম বৈদুতিক যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরী করেন। চার্লস ব্যাবেজের এনালাইটিক ইঞ্জিনের এ ছিল বাস্তবরূপ।
কম্পিউটারের প্রজন্মঃ
প্রথম প্রজন্মঃ ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল কে কম্পিউটার কে প্রথম প্রজন্ম বলা হয়।
অইঈ ( Atanasof Barry কম্পিউটার) ডঃ জন আটানাসফ। গবেষনার জন্য।
দ্বিতীয় প্রজন্মঃ ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৬৫ সাল কে কম্পিউটার কে দ্বিতীয় প্রজন্ম বলা হয়।
গণনাকারী যন্ত্রের ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়, প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে চীনারা অ্যাবাকাস নামক গণনাকারী যন্ত্র আবিষ্কার করে। যাকে কম্পিউটারের পূর্বপুরুষ বলা হয়। সেই থেকে অদাবধি বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে বর্তমান আধুনিক কম্পিউটার আবিষ্কৃত হয়েছে।
প্রথম প্রজন্মঃ ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল কে কম্পিউটার কে প্রথম প্রজন্ম বলা হয়।
অইঈ ( Atanasof Barry কম্পিউটার) ডঃ জন আটানাসফ। গবেষনার জন্য।
দ্বিতীয় প্রজন্মঃ ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৬৫ সাল কে কম্পিউটার কে দ্বিতীয় প্রজন্ম বলা হয়।
গণনাকারী যন্ত্রের ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়, প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে চীনারা অ্যাবাকাস নামক গণনাকারী যন্ত্র আবিষ্কার করে। যাকে কম্পিউটারের পূর্বপুরুষ বলা হয়। সেই থেকে অদাবধি বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে বর্তমান আধুনিক কম্পিউটার আবিষ্কৃত হয়েছে।
১৮৩৩ সালে আধুনিক কম্পিউটারের মৌলিক রূপরেখা তৈরী করে বৃটিশ গণিত বিশারদ চার্লস ব্যাবেজ (charles babbage)। যাকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়। র্চালস ব্যাবেজের ধারণার প্রতিফলন ঘটিয়ে ১৯৪৪ সালে হাওয়ার্ড একিনের নেতৃত্বে মার্ক-১ (Mark-1) নামের ইলেক্ট্রনিক কম্পিউটার আবিষ্কার হয়। এই Computer টি তৈরিতে কাজ করেছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও বিখ্যাত আইবিএম কোম্পনির একদল বিজ্ঞানী।মাইক্রো প্রসেসর আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে কম্পিউটারের সবচেয়ে বড় বিপ্লব ঘটে। ১৯৭১ সালে আমেরিকার ইন্টেল (intel) কোম্পানী সর্বপ্রথম মাইক্রো প্রসেসর (micro processor) তৈরী করে। মাইক্রো প্রসেসর এক বর্গ ইঞ্চি মাপের অল্প আয়তন বিশিষ্ট সিলিকন পাতে হাজার হাজার ট্রানজিষ্টর সন্নিবেশিত একটি য্ন্ত্রাংশ। মাইক্রো প্রসেসর দিয়ে তৈরী কম্পিউটারই আধুনিক মাইক্রো কম্পিউটার বা পার্সোনাল কম্পিউটার।
কম্পিউটারের শ্রেণী বিভাগ :
আকৃতিগত দিক থেকে কম্পিউটারকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-
ক. সুপার কম্পিউটার (super computer), খ. মেইনফ্রেম কম্পিউটার (mainframe computer), গ. মিনি কম্পিউটার (mini computer), ঘ. মাইক্রো কম্পিউটার (micro computer)।
ক. সুপার কম্পিউটার (super computer) : আকৃতিগত দিক থেকে সর্ববৃহত এই কম্পিউটারটিতে তথ্য সংরক্ষণ-তথ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুত গতিসম্পন্ন। এই কম্পিউটার সাধারণত বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও বৃহত প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন-cray-1, cray x-mp, cyber-205.
খ. মেইনফ্রেম কম্পিউটার (mainframe computer) : সুপার কম্পিউটারের চেয়ে ছোট তবুও অন্যান্য কম্পিউটারের চেয়ে বড় এ ধরণের কম্পিউটার একই সাথে অনেকগুলো গ্রহণ মুখ ও নির্গমন মুখ, সরঞ্জাম ও বিভিন্ন রকম সহায়ক স্মৃতির সাথে সংযোগ রক্ষা করে কাজ করে থাকে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানসমূহ এ ধরণের কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে। যেমন-univac1100/01, ibm 6120, ibm 4341, ncr n8370, data general cs30.
গ. মিনি কম্পিউটার (mini computer) : সবচেয়ে জনপ্রিয় এটি কম্পিউটারটি আকৃতিগত ছোট ও দামে সস্তা। অফিসিয়াল কাজ, খেলাধুলা ও এন্টারটেইনমেন্ট কাজে বহুল ব্যবহৃত। এ কম্পিউটারকে পিসি (personal computer) বলে। যেমন-ibm p.c, trs 80, apple 64.
ঘ. মাইক্রো কম্পিউটার (micro computer): মাইক্রোকম্পিউটার বা পার্সোনাল কম্পিউটারকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়।
গ. মিনি কম্পিউটার (mini computer) : সবচেয়ে জনপ্রিয় এটি কম্পিউটারটি আকৃতিগত ছোট ও দামে সস্তা। অফিসিয়াল কাজ, খেলাধুলা ও এন্টারটেইনমেন্ট কাজে বহুল ব্যবহৃত। এ কম্পিউটারকে পিসি (personal computer) বলে। যেমন-ibm p.c, trs 80, apple 64.
ঘ. মাইক্রো কম্পিউটার (micro computer): মাইক্রোকম্পিউটার বা পার্সোনাল কম্পিউটারকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়।
যথা- ১. সুপার মাইক্রো (super micro)
২. ডেস্কটপ (desktop)
৩. ল্যাপটপ (laptop)
১. সুপার মাইক্রো (super micro) : সুপার মাইক্রো কম্পিউটার হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী মাইক্রো কম্পিউটার। এর অন্য নাম ওয়ার্ক ষ্টেশন। এই কম্পিউটারের ক্ষমতা যে কোন মিনি কম্পিউটারের কাছাকাছি হওয়ায় এগুলো মিনিফ্রেমের স্থান দখল করে নিচ্ছে।
২. ডেস্কটপ (desktop) : এটি সহজে ব্যবহার ও ডেস্কে স্থাপন করা যায়। যেমন-আইবিএম পিসি, এ্যাপল মেকিনটোশ।
৩. ল্যাপটপ (laptop) : ডেক্সটপ থেকে ছোট কম্পিউটারগুলো সহজে বহন ও ব্যবহার করা যায়। এটি lap (কোল) এর উপর top (উপর) রেথে কাজ করা যায়। ল্যাপটপ দুইশ্রেণীতে বিভক্ত। যেমন-নোট বুক (note book) ও পিডিএ (pda)। নোট বুক (note book) : ছোট ডায়রী ও নোটবুক আকৃতির ল্যাপটপ। এগুলোকেও পাওয়ার বুক বলা হয়। পিডিএ (pda) : সাবনোট বুক পিডিএ (personal digital assistance) এক ধরণের ল্যাপটপ।আকৃতিগত দিক ছাড়াও গঠনগত দিক থেকে কম্পিউটারকে আরও তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।
যেমন-১. ডিজিটাল কম্পিউটার (digital computer), ২. অ্যানালগ কম্পিউটার (analog computer), ৩. হাইব্রিড কম্পিউটার (hybrid computer)।
১. ডিজিটাল কম্পিউটার (digital computer) : এ ধরণের কম্পিউটার বর্ণ/অংক সংকেতের মাধ্যমে তথ্যগ্রহণ করে থাকে এবং ফলাফল প্রকাশ করে। এ কম্পিউটার নির্ভুলভাবে গাণিতিক ও যুক্তিগত কাজ করে সূক্ষ্মভাবে। 1 ও 0 বাইনারী সংখ্যার উপর নির্ভর করে উপাত্ত সংগ্রহ করে।
২. অ্যানালগ কম্পিউটার (analog computer) : এ কম্পিউটারে বর্ণ ও অংক সংকেতের পরিবর্তে এনালগ বৈদ্যুতিক সংকেত ব্যবহার করে। রোদ, তাপ, উত্তাপ, চাপ জন্য সৃষ্ট বৈদ্যুতিক তরঙ্গকে অ্যানালগ কম্পিউটার ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে এবং ফলাফল সাধারণ প্লটার দিয়ে অংকন করে। রাসায়নিক, পেট্রোলিয়াম ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে অ্যানালগ কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।
৩. হাইব্রিড কম্পিউটার (hybrid computer) : ডিজিটাল ও অ্যানালগ এ দুই ধরণের কম্পিউটারের সমন্বয়ে গঠিত কম্পিউটারকে হাইব্রিড কম্পিউটার বলে। বৈজ্ঞানিক সমাধানের জন্য হাইব্রিড কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।
১. ডিজিটাল কম্পিউটার (digital computer) : এ ধরণের কম্পিউটার বর্ণ/অংক সংকেতের মাধ্যমে তথ্যগ্রহণ করে থাকে এবং ফলাফল প্রকাশ করে। এ কম্পিউটার নির্ভুলভাবে গাণিতিক ও যুক্তিগত কাজ করে সূক্ষ্মভাবে। 1 ও 0 বাইনারী সংখ্যার উপর নির্ভর করে উপাত্ত সংগ্রহ করে।
২. অ্যানালগ কম্পিউটার (analog computer) : এ কম্পিউটারে বর্ণ ও অংক সংকেতের পরিবর্তে এনালগ বৈদ্যুতিক সংকেত ব্যবহার করে। রোদ, তাপ, উত্তাপ, চাপ জন্য সৃষ্ট বৈদ্যুতিক তরঙ্গকে অ্যানালগ কম্পিউটার ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে এবং ফলাফল সাধারণ প্লটার দিয়ে অংকন করে। রাসায়নিক, পেট্রোলিয়াম ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে অ্যানালগ কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।
৩. হাইব্রিড কম্পিউটার (hybrid computer) : ডিজিটাল ও অ্যানালগ এ দুই ধরণের কম্পিউটারের সমন্বয়ে গঠিত কম্পিউটারকে হাইব্রিড কম্পিউটার বলে। বৈজ্ঞানিক সমাধানের জন্য হাইব্রিড কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।