Google Panda
রিকোবার করুন ও পেনাল্টি নিয়ে জানুন
২০১১ সালের ফ্রেব্রোয়ারী মাসের দিকে Panda প্রথম বাজারে আসে।আর এটা গুগল অফিসিয়ালী প্রকাশ করে যে,আমরা এরকম একটা আপডেট নিয়ে আসতেছি আর এটা এই এই বৈশিষ্টের ওয়েবসাইটকে সাইজ করে দিবে।
যখন গুগল এর রোবোট লো-কোয়ালিটি কন্টেন্ট,ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট ইত্যাদির মধ্যে তেমন একটা পার্থক্য করতে পারত না বা করতে পারলেও সার্চ রেজাল্টে ভালোভাবে বিন্যস্ত করতে পারত না।২০১১ পূর্ববর্তী একটা সময় ছিল যখন ব্লাকহেট বা অবৈধ এসইও করে রাঙ্কিং করার একটা রেওয়াজ ছিল।
কোন কোন বৈশিষ্টের?
সেটা একটু পরেই জানব।
প্রকাশ পরবর্তীতে এটা এসইও রিলেটেড বিভিন্ন ফোরাম,ব্লগে ব্যাপক আলোচিত হয়।অবশ্য এর আগেও হয়ত গুগল সিক্রেটলী এটা করত।তবে এটা প্রকাশিত ছিল না।
যাইহোক,
গুগল কেন এরকম Algorithm আপডেট নিয়ে আসল যার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হলো হাজার হাজার ওয়েবসাইটঃ
অর্থ্যাত,সে ভালো-মন্দ সব ওয়েবসাইটকেই গুগলের সার্চ রেজাল্টে প্রথম দিকে নিয়ে আসত।
এতে করে গুগল এর ইউসাররা( মানে যারা গুগলে সার্চ করে) ১০০% সঠিক রেজাল্ট পেত না।ফলে গুগল এরকম একটা Algorithm আপডেট নিয়ে আসে যেখানে গুগল এর রোবট নিম্নক্তো বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ব ওয়েবসাইটকে আর সার্চ রেজাল্টে শো করবে না যতক্ষন তাদের মধ্যে ঐ বৈশিষ্টগুলা বিদ্যামান থাকবে
যে যে কারনে আপনার ওয়েবসাইটটি Panda এর আওতায় পড়বে।
লো-কোয়ালিটি কন্টেন্ট থাকলে।
ডুল্পিকেট কন্টেন্ট বা কপি কন্টেন্ট থাকলে
কী-ওয়ার্ড স্টাফিং করলে
থিন কন্টেন্ট।সাধারনত ২৫০ ওয়ার্ড এর নিচের আর্টিকেলগুলা থিন কন্টেন্ট বলে বিবেচিত হয়।
মেটা ডুপ্লিকেট থাকলে
পোর ইউসার এক্সপেরিয়েন্স। আপনার কন্টেন্ট পড়ে যদি কোন ইউসার বিরক্তবোধ করে।এটা আবার গুগল বুজবে কেমনে? বুজাবুজির সেকশনটা শেষে লাগিয়ে দেওয়া হয়ছে।পড়ে নিয়েন।
(আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহ্রত ইমেজগুলা যদি অন্য ওয়েবসাইট বা গুগলের কপিরাইট যুক্ত ইমেজ হয় তাহলে সেটাও Panda এর আওতায় পড়তে পারে)।
অব্যশ্যই সবসময় কপিরাইট ফ্রি ইমেজ ব্যবহার করবেন নচেৎ নিজস্ব ইমেজ ব্যবহার কবেন।তবে গুগল থেকে যেকোন ইমেজ এর স্ক্রিন-শট ব্যবহার করতে পারেন।সেটাকে আরো মডিফাই করে নিজস্ব ব্রান্ডের ছোয়া দিতে পারেন।
ইমেজ এর এসব খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে দেখতে পারেন।
ইমেজ অপ্টিমাইজড ও ইমেজ কপিরাইট নিয়ে সুপার গাইডলাইন
যদি আপনার ওয়েবসাইটটি Panda এর আওতায় পরেই যায় তাহলে সেটা আপনি নিশ্চিত হবেন কেমনে?
নিচের কন্টেন্টটি পড়ে নিন-
কিভাবে বুজবেন যে,আপনার ওয়েবসাইট কোন্ পেনাল্টি খেয়েছে?
সিউর না হয় হলাম । সিউর হবার পরে সেটা ঠিক করব কেমনে?
Well.আমার দেখা সবথেকে সহজ হলো Google Panda পেনাল্টি রিকোবার করা।
১) প্রথমে ওয়েবমাস্টার এ যাবেন।তারপর Search Appearance থেকে HTML Improvements এ ক্লিক করে দেখুন আপনার কোন কোন মেটা ডুপ্লিকেট আছে।Then,সেগুলা আগে এডিট করে ঠিক করুন।
তারপরের স্টেপটা হলোঃ
২) আপনার লো-কোয়ালিটি কন্টেন্ট,ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট,থিন কন্টেন্ট ইত্যাদি চিহ্নিত করে।অতঃপর সেগুলা নোফলো- নো ইন্ডেক্স করা।সরাসরি ডিলিটও করে দিতে পারেন।তবে নোফলো- নো ইন্ডেক্সই যথেষ্ট।
কীভাবে নোফলো-নো ইন্ডেক্স করতে হয় সেটা জানুন এখানে
3) এগুলা আবার কীভাবে চিহ্নিত করব?
গুগলে সার্চ করুন Duplicate content cheaker.অনেক ফ্রি ও প্রিমিয়াম টুল পাবেন এটা চেক করার জন্য।যেকোন একটা ব্যবহার করলেই হলো।
তবে আমার কাছে থেকে সহজ লাগে siteliner
Siteliner এ ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট চেক করা ও সমস্যা solve করা নিয়ে আমাদের আলাদা একটা আর্টিকেল আছে।আরো ভালো ফলাফলের জন্য চাইলে এটি পড়তে পারেন।
তারপরেও ছোট্ট করে এখানেই বলছি। প্রথমে Siteliner এ যান ও আপনার ওয়েবসাইট Domain লিখে সার্চ চেক করুন।একটু নিচেই আপনার ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট নিয়ে একটি সেকশন থাকবে।সেখানে আপনার ডুল্পিকেট,কমন ও ইউনিক কন্টেন্ট এর % দেখতে পাবেন।
এভাবে আপনার ডুল্পিকেট,লো-কোয়ালিটি,থিন কন্টেন্টগুলা চিহ্নিতপূর্বক সেগুলা হয় নোফলো-নো-ইনডেক্স অথবা ডিলিট করে দিয়ে Google Panda থেকে আপনার ওয়েবসাইট রিকোবার করতে পারেন।
যে বিষয়গুলা এখনোও স্পষ্ট করা হয় নাইঃ
কী-ওয়ার্ড স্টাফিং কন্টেন্টগুলার জন্য এডিট করাই যথেস্ট।এসইও এর সঠিক রোলগুলা ফলোকরে এডিট করুন।কী-ওয়ার্ড স্টাফিং করা থেকে সবসময় বিরত থাকুন।
যদি কী-ওয়ার্ড স্টাফিং ও সমাধান নিয়ে স্পষ্ট ধারনা না থাকে তাহলে পড়তে আমাদের এই আর্টিকেলটি।
তারপর,
পোর ইউসার এক্সপেরিয়েন্স বলতে এখানে বুজানো হচ্ছে,আপনার ওয়েবসাইটির কন্টেন্ট পড়ে ভিসিটর মোটেও সন্তুষ্ট না।
আপনার ওয়েবসাইটে অবিন্যস্তভাবে খালি বিজ্ঞাপন আর বিজ্ঞাপন।এখানে বিজ্ঞাপন সেখানে বিজ্ঞাপন।কাজের কথা না বলে অযথা আলোচনা।এমন করলে আপনার ওয়েবসাইটে মানুষ আসার পর সে কি বেশিক্ষন থাকবে?সে বিরক্ত হয়ে বের হয়ে যাবে।
যখন গুগল রোবোট দেখবে আপনার ওয়েবসাইটের বড় সংখ্যক ভিসিটর আসার পরপরই বেরিয়ে যাচ্ছে কিংবা ২-৩ মিনিটের বেশী থাকতেছে না তখন সে বুজে যাবে “আপনার ওয়েবসাইটটি কোন ধাচের”।
এবার বুজতে পেরেছেন “গুগল রোবট পোর ইউসার এক্সপেরিয়েন্স এর ব্যাপারটা কীভাবে বুজতে পারে।
যখন আমি সব কিছু ঠিকঠাক করব,তখন কি আমার ওয়েবসাইট আবার রাঙ্ক করবে?
Why not?
প্রতি মাসে মাসে গুগল Panda এর আপডেট করে।যখন আপনি সবকিছু ঠিকঠাক করবেন এবং পরবর্তী আপডেট এ গুগল যখন দেখবে এখন আর আপনার ওয়েবসাইটে ডুল্পিকেট,লো-কোয়ালিটি কন্টেন্ট,ডুপ্লিকেট মেটা কিছুই নেই।
All is well
তখন সে আবার আপনার ওয়েবসাইটটিকে রাঙ্ক করবে। রিকোবার হতে সাধারনত মাস খানেক টাইম নেই।
রিকোবার হওয়ার পরে হয়ত আগের থেকে একটু কম রাঙ্ক করবে।তবে ব্যাপার না।আপনি আপনার মতো কোয়ালিটি ব্যকলিঙ্ক করতে থাকেন।ইংশাল্লাহ আস্তে আস্তে রাঙ্কিং এ উন্নতি করবেন।
তবে সেটা উল্টাপাল্টা,স্পামি ব্যাকলিঙ্ক নয় কম্পেটিটরসদের ব্যাকলিঙ্ক রিসার্স করে একটা রোডম্যাপ তৈরী করে তারপর কাজে লেগে যান।
কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক বিল্ড-আপ নিয়ে আমার লেখা একটি আর্টিকেল আছে।পড়তে পারেন
এই ছিল মোটামোটি Google Panda নিয়ে আমাদের আলোচনা।